1. admin@bartamannews.com : admin :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নারায়ণগঞ্জ জেলা কার শোরুম মালিক সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত পদ্না ডিপোতে অবৈধ ভাবে তেল নামাতে মরিয়া হয়ে উটেছে ইরফান ও ফয়সাল দফায় দফায় শোডাউন বক্তাবলী ফেরিঘাটে জোরপূর্বক টোল আদায়ে রশিদ মেম্বার বাহিনী!ইজারাদারকে বুঝিয়ে দিতে সড়ক ও জনপথের নির্দেশ সিদ্ধিরগঞ্জ এর জাকির খানের নাম ব্যবহার করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইরফান ও ফয়সাল আড়াইহাজারের আওয়ামীলীগ ও পুলিশ ধারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন অপু বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নারায়ণগঞ্জে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানা শাখার উদ্যোগে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত সমাজ সেবা কাজে নিয়োজিত বিএনপি নেতা উজ্জ্বল ইসদাইরে বিএনপির মাদক বিরোর্ধী মিছিলে যুবলীগে ক্যাডার আক্তার,সুমন বাহিনীর হামলা আহত অর্ধশতাধিক ইসদাইরের নানা অপর্কমের অন্যতম হোতা গাজী মুসা পিট বাচাতে বিএনপি যোগদান

মাঠে ছিলো ওসমান ও তাদের অনুসারীরা নেই সুবিধাবাদীরা

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪
  • ১০৮ বার পঠিত

বর্তমান নিউজ ডটকমঃ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নারায়ণগঞ্জ। আন্দোলনকারীরা প্রথমে শহরের চাষাঢ়া থেকে শুরু করে ছরিয়ে পরে পুরো জেলায় বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর আগ্নিসংযোগ ওলুটপাট চালায় দৃর্বত্তরা। তাদের নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশে চেষ্টা করে কিন্তু তারা আরো বেশি বেপরোয়া হয়েউঠে। আন্দোলকারীদের প্রধান টার্গেট ছিল পুলিশ, সাংবাদিক ও সরকারী এবং বেসরকারী স্থাপনা। যার চিহৃ রয়েগেছে পুরো জেলায় এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড, মৌচাক, শিমরাইল মোড়েও তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর আগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে তারা।

পাসপোর্ট অফিস, রাজধানী উন্নয়ণ কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নারায়ণগঞ্জ। ভুইগড় এলাকায় ফায়ার সার্ভিস গাড়ি আগুন, জালকুড়ি এলাকায় মিল্প পুলিশ নারায়ণগঞ্জ ৪ এর কর্যালয় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ লুটপাট চালায় । এছাড়া নারায়ণগঞ্জ চার আসনের এমপি শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদকের প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের নামে গড়া নম পার্কে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বত্তরা। এবং এমপি শামীম ওসমানের মীতল পরিবহনের ২৬টি গাড়িতে আগুন দেয় তারা এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট করে তারা।

নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনেরনামে ১৯ জুলাই যখন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, তখন মাঠে ওসমান পরিবারের সদস্যদের ছাড়া জেলা ও মহানগর আয়ামীলীগের কোন নেতাকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। আন্দোলনের নামে শহরে যখন একের পর এক হামলা চলছিল তখন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীমওসমান, পুত্র অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা আলহাজ¦ কাজী আমির, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মেহেদী সহ নেতাকর্মীরা শহরের চাষাঢ়া, দুই নম্বর রেল গেইট এলাকায়, খানপুর, শিবুমার্কেট, ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় মহড়া দিলে আন্দোলনকারীরা পালিয়ে যায়।

জানা যায়, কোটা সংস্কার নিয়ে গত ১৮জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আন্দোলনকারীরা। সেইকর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জেও আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। প্রথমদিন শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলেও পরের দিন তাণ্ডবলীলা চালায়শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা। পুলিশও ছিল কঠোর অবস্থানে। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করেই আন্দোলনকারী মিছিল নিয়ে চাষাড়া এলাকায় এস ভুয়া ভুয়া শ্লোগন দিয়ে গিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করলে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

এসময় পুলিশ উচ্ছৃঙ্খল আন্দোলনকারীদের দমাতে টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা রাবার বুলেটি নক্ষেপ করেছিল। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি আন্দোলনকারীদের। সরকারীও বেসরকারী বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে নিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। পরে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাব থেকে গাড়ি বহর নিয়ে সাংসদ একেএম শামীম ওসমান ও পুত্রঅয়ন ওসমানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নামলে আন্দোলনকারী পালিয়ে যায়।

আন্দোলনকারীদের ধমাতে নারায়ণগঞ্জ-৫আসনের প্রয়াত সাংসদ একেএম নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী শহরে মহড়া দিলে আন্দোলনকারীরা দিকবিদিক দৌড়ে পালিয়ে যায়। নেতাকর্মীদের মতে, সরকার বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনেই নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের সদস্যদের মাঠে দেখা গেলেওঅন্য নেতারা ছিলেন ঘরের ভেতরে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আন্দোলনকারীরা যখন প্রকাশ্যে ভাংচুর করছে, তখন মঞ্চে বড় বড় বুলি আওড়ানো সরকারী দলের নেতারা ঘাপটি মেরে বসেছিলেন। শামীম ওসমান,আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানরা ঠিকই দলের জন্য মাঠে নেমে আন্দোলনকারীদের দমিয়েছেন। পরে সন্ধ্যায় পুরো শহর নিয়ন্ত্রেনে নিয়ে আসে তারা। তাদের সাথে বিশাল কর্ম বাহিনী নিয়ে মাঠে ছিলো ছাত্ররীগ এর নেতাকর্মরাও। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন এর মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ঘনিষ্ট কোন ব্যাক্তিকে দেখা যায়নি মাঠে।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বর্তমান নিউজ
Theme Customized By Shakil IT Park