বর্তমান নিউজ ডটকমঃ
ফতুল্লা থানাধীন বৃহত্তর মাসদাইর ও আশপাশ এলাকায় নতুন আতংকে পরিনত হয়েছে মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার অন্যতম মাদক বিক্রেতা ও অপরাধ জগতের নক্ষত্র আহসান কসাইয়ের এর ছেলে আল আমিন ওরফে বরকি আল আমিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, কসাই আল আমিনের সহযোগি হিসেবে রয়েছেন ফয়সাল,মুক্তার, মন্টুর ছেলে রনি এবং বড়বাড়ির অপু। এদের মধ্যে ফয়সাল ও মুক্তার পেশাদার ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত। মাসদাইর ও আশপাশ এলাকায় যেসকল ছিনতাই সংঘটিত হচ্ছে তার মুলে রয়েছে ফয়সাল ও মুক্তার।
আর এদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলামিন। তারা আরও জানান,৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর বিএনপির ব্যানারে যেসকল অপরাধীরা মাসদাইর ও আশপাশে তাদের অপরাধগুলো সংঘটিত তার মহানায়ক হিসেবে রয়েছে এ আলআমিন। ৫ আগষ্টের পর মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির নাম ব্যাবহার করে মোটা অংকের টাকা চাদাঁ দাবী করা হয়।
কিন্তু প্রবাসীর স্ত্রী সে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বাড়িতে নতুন বিল্ডিংয়ের নির্মানের জন্য আনা রডগুলো নিয়ে যায় আলআমিনগংরা। এছাড়াও পুরো এলাকা জুড়েই বর্তমানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে সে। চুরি,ছিনতাই এবং মাদক বিক্রিতে সহযোগিতা করা ছাড়াও এহেন কোন কাজ নেই যার মধ্যে ওর সম্পৃতক্তা নেই।
তারা আরও জানান,কয়েক বছর আগে আলআমিনের দোকান থেকে গরুর মাংস নিয়ে টাকা দিতে কয়েকদিন দেরী করাতে উক্ত ব্যক্তির হাতের একটি আঙ্গুল চাপাতি দিয়ে কেটে ফেলে এ আলআমিন। এছাড়াও এলাকাতে কিশোরগ্যাং এর একটি গ্রæপও রয়েছে আলামিনের তত্তাবধানে। যেই গ্রæপটি দিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষগুলোকে প্রতিনিয়ন কোন না কোনভাবে ভোগান্তি করছে সে।
যুুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁবাজিসহ নানাবিধ অপকর্মের হোতা কসাই আল আমিনের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহনে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন মাসদাইর ও আশপাশের শান্তিপ্রিয় সাধারন মানুষ।